,

আবু জাহিরের বার্ষিক আয় ৩৭ লাখ টাকা :: মজিদ খানের কাছে আছে ৩ কোটি টাকা :: মুশফিকের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি

জাবেদ তালুকদার : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হবিগঞ্জের ৪টি আসনে মোট ৪০ জন প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে আলোচনায় থাকা ৩ প্রার্থী এড. আবু জাহির এমপি, এড. মজিদ খান এমপি ও ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীর নিজের এবং স্ত্রী-সন্তানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হলো দৈনিক হবিগঞ্জ সময়’র পাঠকদের জন্য।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যে জানা যায়, এড. আবু জাহির এমপির বাৎসরিক আয় ৩৭ লাখ ১৬ হাজার ৯১৬ টাকা। যা আইন পেশা, পরামর্শক ও সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া ও কৃষি খাত থেকে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয় আইন পেশা, পরামর্শক ও সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা থেকে। এ খাতে তার বছরে আয় হয় ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৬ টাকা। ৩১ ভরি সোনা, গাড়ি, আসবাবপত্রসহ অস্থাবর সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৫৯ টাকা। কৃষি জমি, হবিগঞ্জ ও ঢাকায় বাড়ি, দোকান ভিটা, অকৃষি জমিসহ ৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৬ টাকার স্থাবর সম্পত্তি আছে। মোট সম্পত্তি ৬ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৭২১ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে আয় ৬৭ লাখ ৮ হাজার ৭৯ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ১০০ ভরি সোনা, গাড়ি, আসবাবপত্রসহ ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং স্থাবর সম্পত্তি কৃষি, অকৃষি জমি ১ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার। স্ত্রীর মোট সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯ টাকা। ছেলের কৃষি, ব্যবসা ও বিভিন্ন খাত থেকে আয় ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৫৯ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ১০৮ ভরি সোনা ও ইলেকট্রিক পণ্য ৬৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তি কৃষি ও অকৃষি জমি ৯৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা। তার নামে মোট সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ১৫৯ টাকা।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এড. আব্দুল মজিদ খান কৃষি খাত থেকে বার্ষিক ৪৫ হাজার টাকা, বাড়ি/এপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬১০ টাকা, মৎস খামার থেকে ১৫ লাখ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ৫২ হাজার ২৫০ টাকা আয় করেন। তার কাছে নগদ রয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৫১১ টাকা ও ব্যাংকে জমা ৩০ লাখ ২২ হাজার ৩৭৪ টাকা। তার একটি গাড়ি রয়েছে যার মূল্য ৯২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, এছাড়া ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র রয়েছে। তার স্ত্রীর কাছে রয়েছে নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ। স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমি রয়েছে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৭৫ টাকার এবং অকৃষি জমি ১৮ হাজার ৫৫৬ টাকার। এছাড়া হবিগঞ্জ শহরে ২০ লাখ ৮৫ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের একটি বাসা রয়েছে।
হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সদ্য পদত্যাগকারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী হলফনামায় জানা যায়, বর্তমানে তার নগদ টাকার পরিমাণ ৫১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭৭ টাকা। তবে তাঁর ব্যাংকে রয়েছে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৫০২ টাকা। এছাড়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তালিকায় দেখানো হয়েছে তাঁর বার্ষিক আয় ৪০ লাখ ১০ হাজার ৩৯৩ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে পান ২৬ হাজার, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে পান ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯ টাকা। ব্যবসা থেকে ১ লাখ, সঞ্চয় পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ১১ লাখ ৬ হাজার ২৭৭ টাকা, চাকুরীর ভাতা পান ৫ লাখ ২০ হাজার ২ শ টাকা ও অন্যান্য ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮২৭ টাকা। এছাড়া শহরের পুরানমুন্সেফী এলাকায় ১টি ৪ তলা ভবনের মূল্য ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৫শ ও ঢাকায় ৬ তলা ফাউন্ডেশনের ৫ তলা ১টি ভবনের মূল্যে ২ কোটি ৩০ লাখ ৫ হাজার ৬৮৬ টাকাসহ তিনি হলফনামায় আরো কিছু অস্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৫ কোটি ৪ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৫ টাকার মালিক তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর